মঙ্গলকাব্য-(বিসিএস এর প্রস্তুতির জন্য)

 মঙ্গলকাব্য-(বিসিএস এর প্রস্তুতির জন্য)-পোস্ট নং 02

1. বংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণির ধর্ম বিষয়ক অখ্যান কাব্যহ হলো – মঙ্গলকাব্য।

 2. প্রকৃতপক্ষে মঙ্গলকাব্যকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় – পৌরণিক ও লৌকিক।

  3. মঙ্গলকাব্যের উপজীব্য বিষয় – দেবদেবীর গুণগান।

 4. মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য – মঙ্গলকাব্য।

 5. আদি মঙ্গলকাব্য হিসেবে পরিচিত – মনসামঙ্গল।

 6. একটি সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যে সাধারণত– ৫ টি অংশ থাকে।

 7. মঙ্গল কাব্যের প্রধান ধারা –  মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল।

মনসামঙ্গল

1.মনসা মঙ্গলকাব্যের দু’জন সেরা কবি-উত্তর: বিজয়গুপ্ত, বংশীদাস

2. সর্বাপেক্ষা প্রাচীনতম মঙ্গলকাব্য ধারা- মনসামঙ্গল।

3. মনসামঙ্গলের আদি কবি- কানা হরিদত্ত।

4. সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় মনসামঙ্গল কাহিনী- চাঁদ সাগরের বিদ্রোহ ও বেহুলার সতীত্ব কাহিনী।

5. মনসামঙ্গলের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- মনসাদেবী, চাঁদ সুন্দর, বেহুলা, লক্ষ্মীন্দর।

 6. মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি বিজয় গুপ্তের জন্ম স্থান- বরিশাল জেলার বর্তমান গৈলা গ্রামে এবং প্রাচীন নাম ফুলশ্রী।

7. ‘মনসা বিজয়’ কাব্যগ্রন্থের রচিয়তা- বিপ্রদাস পিপিলাই, ১৪৯৫ সালে প্রকাশিত হয়।

8. মনসামঙ্গলের সুকণ্ঠ গায়ক হিসেবে কোন কবির বিশেষ খ্যাত- দ্বিজ বংশীদাস।

 9. মনসামঙ্গল কাব্য কোন দেবীর কাহিনী নিয়ে- দেবী মনসা’র কাহিনী।

10. মনসামঙ্গল কাব্যের কবিগণের নাম- কানাহরি দত্ত, নারায়ণ দেব, বিজয় গুপ্ত, বিপ্রদাস,

11. মনসামঙ্গল কাব্যের অপর নাম -পদ্মপুরাণ

চণ্ডীমঙ্গল 

 1. চণ্ডীমঙ্গলের আদি কবি – মানিক দত্ত।

 2. চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারার কবি দ্বিজ মাধবকে বলা হয় – ‘স্বভাব কবি’।

 3. চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান/শ্রেষ্ঠী কবি – মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।

 4. মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি – কবিকঙ্কন।

 5. চণ্ডীমঙ্গল কাব্য রচিত – চণ্ডীদেবীর কাহিনি অবলম্বনে।

 6. মুকুন্দরাম চক্রবর্তীতে ‘কবিকঙ্কন’ উপাধি দেন – জমিদার রঘুনাথ রায়।

 7. চন্ডীমঙ্গল কাব্যের রচয়িতা – মানিক দত্ত, দ্বিজ মাধব, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, দ্বিজরাম দেব, মুক্তারাম সেন।

 8. চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান/শ্রেষ্ঠী কবি – মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।

 9. মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি – কবিকঙ্কন।

 10. চণ্ডীমঙ্গল কাব্য রচিত – চণ্ডীদেবীর কাহিনি অবলম্বনে।

 11.  মুকুন্দরাম চক্রবর্তীতে ‘কবিকঙ্কন’ উপাধি দেন – জমিদার রঘুনাথ রায়।

 12.  চন্ডীমঙ্গল কাব্যের রচয়িতা – মানিক দত্ত, দ্বিজ মাধব, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, দ্বিজরাম দেব, মুক্তারাম সেন।

 13. চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র – কালকেতু, ধনপতি, ভাড়ুদত্ত, মুরারী শীল।

 14. বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঠগ চরিত্র – ভাড়ুদত্ত।

 ধর্মমঙ্গল

 1. ধর্মঠাকুরের মহত্ম্য প্রচারের জন্য সূত্রপাত হয়েছে – ধর্মমঙ্গল কাব্যের।

 2. ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার প্রথম কবি – ময়ূর ভট্ট।

 3. ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার প্রধান কবি – রূপরাম চক্রবর্তী ও ঘনরাম চক্রবর্তী।

 4.  ধর্মমঙ্গল কাব্য দুটি পালায় বিভক্ত – রাজা হরিশচন্দ্রের গল্প ও লাউসেনের গল্প।

 অন্নদামঙ্গল :

 1. দেবী অন্নদার বন্দনা আছে – অন্নদামঙ্গল কাব্যে।

 2. অন্নদামঙ্গল ধারার প্রধান কবি – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।

 3. বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি – ভারতচন্দ্র।

 4.  ভারচন্দ্রের উপাধি – রায়গুণাকর।

 5. মঙ্গলযুগের শেষ কবি – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।

 6. অন্নদামঙ্গল কাব্য বিভক্ত – তিন ভাগে।

 7.  অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।

 8. অন্নদামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র – ঈশ্বরী পাটনী, হীরামালিনী।

 9.  ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ – ঈশ্বরী পাটনী, অন্নদামঙ্গল।

 কলিকামঙ্গল 

 1. দেবী কালীর মহত্ম্য বর্ণনামূলক গ্রন্থ – কলিকামঙ্গল।

 2. কলিকামঙ্গল ধারার আদি কবি – কবি কঙ্ক।

 3. কলিকামঙ্গল নামক অভিহিত কাব্যধারাকে বলা হয় – বিদ্যাসুন্দর।

 4.  বিদ্যাসুন্দর কাব্যের অন্যতম কবি – রামপদ সেন, সাবিরিদ সেন।

 5.  কলিকামঙ্গলেরর বিশিষ্ট কবি – রামপ্রসাদ সেন।

 6. রামপ্রসাদের কাব্যগ্রন্থের নাম – কবিরঞ্জন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url