সাধারণ সিম এবং ই-সিম এর মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে
সাধারণ সিম এবং ই-সিম |
সিম কিভাবে কাজ করে?
সিম ছাড়া ফোনের প্রধান কাজ অর্থাৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। মোবাইল অপারেটরগুলি শুধুমাত্র সিমের মাধ্যমে তাদের নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদান করে। এটি প্রতিটি মোবাইল ব্যবহারকারীর পরিচয়ের মতো। মোবাইল অপারেটররা তাদের হাজার হাজার টাওয়ারের মাধ্যমে যে নেটওয়ার্কগুলি সরবরাহ করে তা এনক্রিপ্ট করা হয়। আপনি ইচ্ছামত সেই নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস করতে পারবেন না। আপনাকে এই নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস দেওয়ার জন্য সিম দেওয়া হয়েছে।এই সিমে একটি চিপ রয়েছে যাতে প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে এবং এই চিপের সাহায্যে আপনাকে নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস দেওয়া হয় যাতে অপারেটররা আপনাকে কোনও সমস্যা ছাড়াই ব্যবহারকারী হিসাবে চিনতে পারে। প্রতিটি ফোনে এই সিমের জন্য আলাদা সিম কার্ড স্লট এবং সিম চিপ থাকে যেটাতে ডেটা রয়েছে। সাধারণত এই স্লটটি আধুনিক স্মার্টফোনের একটি ট্রেতে থাকে যা ফোনের একটি নির্দিষ্ট স্থান দখল করে।
এই যুগে এসে ফোনের সব জায়গাই অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে উঠছে বিভিন্ন সেন্সর ও অন্যান্য প্রযুক্তির জন্য জায়গা করে দিতে। তাই আজকাল অনেক ফোন ৩.৫ মিমি অডিও জ্যাক বাদ দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায়, ফোন কোম্পানিগুলো ফোনের সিম স্লটে অন্য কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য ফোনের মাদারবোর্ডের সঙ্গে সিম চিপকে একীভূত করে e-SIM সুবিধা চালু করছে। এভাবে চিপের সমস্ত তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফোনে ডিজিটালভাবে ডাউনলোড করা যায় এবং মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যায়।
সাধারণ সিম এবং ইসিম এর মধ্যে পার্থক্য
ই-সিম এবং সাধারণ সিমের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। ই-সিম চিপ তথ্য ডিজিটালভাবে নিতে পারে এবং সাধারণ সিমগুলি একটি বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে ফোনে সেই তথ্য দেয়।ই-সিম সাধারণ ন্যানো সিমের চেয়ে ৩ গুণ ছোট। ফোনের সার্কিট বোর্ডের সাথে ফোনের ভিতরে সিম দেওয়া আছে। তাই অন্যান্য যন্ত্রাংশের জন্য ফোনের ভিতরে অনেক জায়গা বেচে যায়।
একটি সাধারণ সিমে অপারেটর বা নম্বর পরিবর্তন করতে, আপনাকে বারবার ট্রে থেকে সিমটি বের করতে হবে এবং সিম পরিবর্তন করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ এবং ঝামেলাপূর্ণ। কিন্তু ই-সিমএ আপনি অনেক অপারেটরের ই-সিম প্রোফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন। যখন অপারেটর সেই অপারেটরের সিম সক্রিয় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে চায় যা খুব সহজ এবং সময় বাঁচায়।
ই-সিম সেট আপ সাধারণ সিম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সকল স্মার্টফোন ই-সিম সাপোট করে না। বর্তমানে শুধুমাত্র উচ্চ বাজেটের ফোনেই ই-সিম দেখা যায়।
যেমন: পিক্সেল সিরিজ, আইফোন, স্যামসাং-এর এস সিরিজের ফোন ইত্যাদি। অপারেটররা আপনাকে একটি সাধারণ সিম কার্ডের পরিবর্তে একটি QR কোড দেবে, যেটি একবার স্ক্যান করে ফোনের সমস্ত সিমের তথ্য সেটআপ করবে। ই-সিম-এর এই সাধারণ সেট আপটিকে সাধারণ সিম থেকে আলাদা করে তোলে। এছাড়া সাধারন সিমে আপনি যা করতে পারবেন, ই-সিম এ ও তাই করতে পারবেন। নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট ব্রাউজিং এ কোনো পার্থক্য থাকবে না।
সাধারণ সিম এবং ইসিমের মধ্যে পার্থক্য জানুন,জেনে নিন ই-সিম সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা এবং তার সঠিক তথ্য
বাংলাদেশে ই-সিম
আমাদের দেশেও ই-সিমের প্রচলন শুরু হয়েছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় গ্রামীণফোন প্রথম ই-সিম সেবা চালু করে। সময়ের সাথে সাথে এগুলো স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে খুব একটা জনপ্রিয় নয় কারণ অনেকেই সিম সমর্থিত ডিভাইস ব্যবহার করেন না। তবে সময়ের সাথে সাথে এটি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।শুধু সিম পরিবর্তনের ক্ষেত্রেই যে ইসিম সুবিধা দিচ্ছে তাই নয়। ই-সিম এর সুবিধা অনেক। এই প্রযুক্তি ই-বর্জ্য কমাতেও সাহায্য করছে। বিলিয়ন বিলিয়ন সিম চিপ আমরা ফেলে দিই যখন সেগুলি ক্ষতিগ্রস্থ বা অব্যবহারযোগ্য হয়ে যায়, যা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সেদিক থেকে ই-সিম এই অপচয় কমবে। এ ছাড়া ফোন চুরি বা চুরি হয়ে গেলে খুঁজে বের করাও সুবিধাজনক হতে পারে। যখন একটি ফোন চুরি হয়, তখন সিমটি সাধারণত ফেলে দেওয়া হয় যাতে লোকেশন ট্র্যাক করা না যায়। ই-সিমে এটা আর সম্ভব হবে না। একটি হ্যাকার বা চোরকে প্রথমে সিম নেটওয়ার্ককে আলাদা করতে ফোনে অ্যাক্সেস পেতে হবে৷ ফোন লক থাকলে এটি সম্ভব নয়। তাই ই-সিম এক্ষেত্রে বেশ কার্যকর হবে।
ই-সিম একটি অত্যন্ত কার্যকর নতুন প্রজন্মের সিম ব্যবস্থায়। এই ব্যবস্থা যেমন আধুনিক জীবনকে সহজ করবে, তেমনি স্মার্টফোনকেও আরও স্মার্ট হতে সাহায্য করবে।
আর হে শুধু ই-সিম ব্যাবহার করে ইন্টারনেট ইউজ করলে হবে না। নিজের মন ও শরীর কে সুস্থ রাখতে বেশি বেশি ঘুরতে হবে। আর বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যাবার যাবতীয় তথ্য পেতে ভিজিট করুন - ভ্রমণকাল এই সাইটিতে। বেশি বেশি ভ্রমণ করুন নিজেকে সুস্থ রাখুন। ধন্যবাদ
it's really help full for me thank you very much.