আলহামদুলিল্লাহ! বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ

                   আলহামদুলিল্লাহ! বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ


আলহামদুলিল্লাহ! বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ
পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ



🌙 দেখা গেছে!১০ই জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা। জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন 😍 জিল হজ্জ্ব- আরবি বার মাসের শেষ মাস। বছরের বার মাসের মধ্যে “নিষিদ্ধ মাস” মুহাররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ্জ (অর্থাৎ এ মাসগুলোতে কোন প্রকার যুদ্ধ বিগ্রহ করা যাবে না)💖 আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ যে, তিনি তার পাপিষ্ট বান্দাদেরকে এমন কিছু মৌসুম দিয়েছেন যেগুলোতে তারা বেশি বেশি নেকীর কাজ করে সওয়াব অর্জন করতে পারে 🥰 এই মৌসুমগুলোর মধ্যে অন্যতম মাস হলো, যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন💖আল্লাহ তা’আলা কুরআনে বলেনঃ "কসম ভোরবেলার। কসম দশ রাতের।" (সূরা ফাজর : ১-২) ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন : এর দ্বারা উদ্দেশ্য জিলহজ মাসের দশ দিন❤️ রাসূল সা:বলেছেন: “যিলহজ্জের প্রথম দশকের চেয়ে উত্তম এমন কোন দিন নেই, যে দিনগুলোর সৎ আমল আল্লাহ্র নিকট অধিক পছন্দনীয়।”😍 সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয় হে রাসূলুল্লাহ্? তিনি বললেন: “আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। অবশ্য সেই মুজাহিদের কথা ভিন্ন, যে জান-মাল নিয়ে জিহাদে বেরিয়ে পড়ে, কিন্তু আর কোন কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না (অর্থাৎ আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে যায়)।” (বুখারী)🥀 [উলামায়ে কেরাম বলেছেন : জিলহজ মাসের দশদিন সর্বোত্তম দিন, আর রমযান মাসের দশ রাত, সব চেয়ে উত্তম রাত]💖 আক্ষেপের বিষয় হলো--কোরআন-হাদিসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া এই ইবাদতের সময় সম্পর্কে সমাজের খুব স্বল্পসংখ্যক মানুষই ধারণা রাখেন🥀 জিলহজ মাসের প্রথম দশকের উল্লেখযোগ্য ১০টি আমল হলো- ১. সামর্থ্যবান হলে হজ্ব পালন করা। -(সূরা আল ইমরান: ৯৭) ২. কোরবানি করা। -(সূরা কাউসার ও তিরমিজি) ৩. অধিক পরিমাণে আল্লাহতায়ালার নামের জিকির করা। -(সূরা হজ্ব : ২৮) ৪. অধিক পরিমাণে নেক আমল করা। -(সহিহ মুসলিম) ৫. পাপের পথ না মাড়ানো। -(সহিহ মুসলিম) ৬. কোরবানি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির এই দশদিন- নখ, চুলসহ শরীর থেকে কোনো কিছু কর্তন না করা। -(সহিহ মুসলিম) ৭. বেশি বেশি তাকবির, তাহমিদ ও তাহলিল পাঠ করা। যেমন- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। – (আবু দাউদ) ৮. আরাফার দিন ফজর হতে আইয়ামে তাশরিকে (ঈদের দিন ও তার পরে আরো তিন দিন) প্রতি নামাজের পর উল্লেখিত তাকবিরটি পাঠ করা। -(আবু দাউদ) ৯. আরাফার দিনে রোজা রাখা। সহিহ মুসলিমের এক বর্ণনায় আল্লাহর রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন: আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি মনে করি, তার বিনিময়ে আল্লাহতায়ালা এক বছর পূর্বের ও এক বছর পরের গুনাহ মাফ করে দিবেন 💖 আরাফার দিন ছাড়াও ঈদের দিন ছাড়া প্রথম দশকের বাকি দিনগুলোতেও রোজা রাখাকে মোস্তাহাব বলেছেন ইমাম নববি (রহ.)🌺 কেননা নফল রোজাও নেক আমলের শামিল। হাদিসে এই দশকে সাধারণভাবে নেক আমলের প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য হাদিসে স্বতন্ত্র নির্দেশ থাকায় আরাফার দিনের রোজা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ🌺 ১০. ঈদের দিনের যাবতীয় সুন্নতসমূহ পালনে সচেষ্ট হওয়া💖 প্রিয় পাঠক! জিলহজ্ব মাস তো কতোবারই এসেছে আমাদের জীবনে। কিন্তু আমরা কী পেরেছি জিলহজ্ব মাসের এসব আমলসমূহ পালন করতে? কে জানে আগামী জিলহজ্ব আমাদের জীবনে আসবে কি-না?🥀 সুতরাং সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কিন্তু এখনই🌺
Next Post Previous Post
1 Comments
  • Good
    Good July 11, 2022 at 4:40 AM

    Nice post

Add Comment
comment url