আলহামদুলিল্লাহ! বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ
|
পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ
|
দেখা গেছে!১০ই জুলাই
পবিত্র ঈদুল আজহা।
জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন
জিল হজ্জ্ব- আরবি বার মাসের শেষ মাস।
বছরের বার মাসের মধ্যে “নিষিদ্ধ মাস” মুহাররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ্জ (অর্থাৎ এ মাসগুলোতে কোন প্রকার যুদ্ধ বিগ্রহ করা যাবে না)
আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ যে, তিনি তার পাপিষ্ট বান্দাদেরকে এমন
কিছু মৌসুম দিয়েছেন যেগুলোতে তারা বেশি বেশি নেকীর
কাজ করে সওয়াব অর্জন করতে পারে
এই মৌসুমগুলোর মধ্যে অন্যতম মাস হলো, যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনআল্লাহ তা’আলা কুরআনে বলেনঃ
"কসম ভোরবেলার। কসম দশ রাতের।" (সূরা ফাজর : ১-২)
ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন : এর দ্বারা উদ্দেশ্য
জিলহজ মাসের দশ দিন
রাসূল সা:বলেছেন:
“যিলহজ্জের প্রথম দশকের চেয়ে উত্তম এমন কোন দিন নেই, যে
দিনগুলোর সৎ আমল আল্লাহ্র নিকট অধিক পছন্দনীয়।”
সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও
নয় হে রাসূলুল্লাহ্?
তিনি বললেন: “আল্লাহর পথে জিহাদও নয়।
অবশ্য সেই মুজাহিদের কথা ভিন্ন, যে জান-মাল নিয়ে জিহাদে
বেরিয়ে পড়ে, কিন্তু আর কোন কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না
(অর্থাৎ আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে যায়)।” (বুখারী)
[উলামায়ে কেরাম বলেছেন : জিলহজ মাসের দশদিন সর্বোত্তম
দিন, আর রমযান মাসের দশ রাত, সব চেয়ে উত্তম রাত]
আক্ষেপের বিষয় হলো--কোরআন-হাদিসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব
পাওয়া এই ইবাদতের সময় সম্পর্কে সমাজের খুব স্বল্পসংখ্যক
মানুষই ধারণা রাখেন
জিলহজ মাসের প্রথম দশকের উল্লেখযোগ্য ১০টি আমল হলো-
১. সামর্থ্যবান হলে হজ্ব পালন করা। -(সূরা আল ইমরান: ৯৭)
২. কোরবানি করা। -(সূরা কাউসার ও তিরমিজি)
৩. অধিক পরিমাণে আল্লাহতায়ালার নামের জিকির করা। -(সূরা হজ্ব : ২৮)
৪. অধিক পরিমাণে নেক আমল করা। -(সহিহ মুসলিম)
৫. পাপের পথ না মাড়ানো। -(সহিহ মুসলিম)
৬. কোরবানি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির এই দশদিন- নখ, চুলসহ শরীর
থেকে কোনো কিছু কর্তন না করা। -(সহিহ মুসলিম)
৭. বেশি বেশি তাকবির, তাহমিদ ও তাহলিল পাঠ করা।
যেমন- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। –
(আবু দাউদ)
৮. আরাফার দিন ফজর হতে আইয়ামে তাশরিকে (ঈদের দিন ও
তার পরে আরো তিন দিন) প্রতি নামাজের পর উল্লেখিত
তাকবিরটি পাঠ করা। -(আবু দাউদ)
৯. আরাফার দিনে রোজা রাখা।
সহিহ মুসলিমের এক বর্ণনায় আল্লাহর রাসূল সা: ইরশাদ
করেছেন:
আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি মনে করি,
তার বিনিময়ে আল্লাহতায়ালা এক বছর পূর্বের ও এক বছর পরের
গুনাহ মাফ করে দিবেন
আরাফার দিন ছাড়াও ঈদের দিন ছাড়া
প্রথম দশকের বাকি দিনগুলোতেও রোজা রাখাকে মোস্তাহাব
বলেছেন ইমাম নববি (রহ.)
কেননা নফল রোজাও নেক আমলের শামিল।
হাদিসে এই দশকে সাধারণভাবে নেক আমলের প্রতি
উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য হাদিসে স্বতন্ত্র নির্দেশ থাকায়
আরাফার দিনের রোজা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ
১০. ঈদের দিনের যাবতীয় সুন্নতসমূহ পালনে সচেষ্ট হওয়া
প্রিয় পাঠক! জিলহজ্ব মাস তো কতোবারই এসেছে আমাদের
জীবনে। কিন্তু আমরা কী পেরেছি জিলহজ্ব মাসের এসব
আমলসমূহ পালন করতে?
কে জানে আগামী জিলহজ্ব আমাদের জীবনে আসবে কি-না?
সুতরাং সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কিন্তু এখনই
Nice post