ইসলামে পরক্রিয়ার কি পরিনাম (উত্তর)
নিজ স্ত্রী ব্যতীত অন্য নারীদের সাথে প্রেম করার
পরিণাম!!
:
"যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে কুমতলবের ইচ্ছা নিয়ে স্পর্শ
করবে, কিয়ামতের দিন সে এমনভাবে আসবে যে তার
হাত তার ঘাড়ের সাথে যুক্ত থাকবে।
সে যদি কোনো নারীকে চুমু দিয়ে থাকে, তাহলে তার
ঠোঁট দুটিকে আগুনের কাঁচি দিয়ে কাটা হবে।
আর যদি তার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে থাকে তাহলে
তার দুই উরু সাক্ষী দিবে, আমি অবৈধ কাজের জন্য
আরোহণ করেছিলাম।
তখন আল্লাহ তার দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকাবেন এবং
এতে সে অপমান বোধ করে গোয়ার্তুমি করে বলবে;
‘আমি এ কাজ করিনি’।
তখন তার জিহ্বা তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়ে বলবে,
‘আমি অবৈধ বিষয়ে কথা বলেছিলাম’।
তার হাত সাক্ষী দিবে, ‘আমি অবৈধ বস্তু ধরেছিলাম’।
এরপর চক্ষু বলবে, ‘আমি অবৈধ বস্তুর দিকে তাকাতাম’।
তার দুখানা পা বলবে, ‘আমি ব্যভিচার করেছি’।
প্রহরী ফেরেশতারা বলবে, ‘আমি শুনেছি’।
অন্য ফেরেশতা বলবে, ‘আর আমি লিখে রেখেছি’।
আর আল্লাহ বলবেন, ‘আমি জেনেছি এবং লুকিয়ে
রেখেছি।
এরপর আল্লাহ বলবেন, হে ফেরেশতাগণ! একে পাকড়াও
করে আমার আযাব ভোগ করাও।
কেননা যে ব্যক্তির লজ্জা কমে যায় তার উপর আমার
ক্রোধের অন্ত নাই।"
.
এ হাদীসের সমর্থন নিম্নের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত
হয়ঃ
“যেদিন তাদের কৃতকর্মের বিরুদ্ধে তাদের জিহ্বা,
তাদের হাত ও পা সাক্ষী দিবে।”
[সূরা আন-নূর ২৪]
.
অন্য আয়াতে আছে,
"যারা # ব্যভিচার (বিবাহ বহির্ভূত যৌনতা) করবে, তারা
দ্বিগুণ শাস্তি ভোগ করবে, এবং অপমানিত অবস্থায়
জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে।"
(সূরা আল ফুরকান ৬৮-৬৯)
.
“কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে, এবং
কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।”
(সূরা যিলযালঃ ৭-৮)
.
এসব হারাম সম্পর্কগুলো সৃষ্টি হয় দৃষ্টির মাধ্যমে।
এজন্য হাদীসে দৃষ্টিকে শয়তানের তীর বলা হয়েছে।
বেগানা নারীর সৌন্দর্য উপভোগ করাকে চোখের জিনা
বলা হয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা নারী পুরুষ উভয়কেই দৃষ্টি
এবং
# যৌনাঙ্গের_হেফাজত করতে আদেশ করেছেন।
(সূরা নূর আয়াত ৩০-৩১)
.
রাসূল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি কোন বেগানা নারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি
নিক্ষেপ করবে, কিয়ামতের দিন তার চোখে উত্তপ্ত
গলিত সীসা ঢেলে দেওয়া হবে॥"
(ফাতহুল কাদীর)
.
আল্লাহর ভয়ে মেয়েদের সৌন্দর্য উপভোগ করা, # কুদৃষ্টি
ও কামনার দৃষ্টি ত্যাগ করুন, আর অন্তরের মধ্য ইমানের
মাধুরতা উপভোগ করুন।
এটা পরীক্ষিত সত্য।
আল্লাহ আমাদের দৃষ্টির হেফাজত করুন আমিন